হংকংয়ের ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচনে ভূমিধস পেয়েছে গনতন্ত্রপন্থিরা। নির্বাচনে ৪৫২টি পদের মধ্যে ৩৮৮টি পদে বিজয়ী হয়েছেন গণতন্ত্রপন্থি প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, বেইজিংপন্থিরা পেয়েছেন মাত্র ৬৪টি ভোট। এই ফলকে কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের পক্ষে বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২৪ নভেম্বর (রবিবার) হংকংয়ের এই স্থানীয় নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে হংকংয়ের স্থানীয় নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই নির্বাচনে। চার লাখ নতুন ভোটারসহ এবার ভোট দিতে নিবন্ধন করেছিলেন ৪১ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৯ লাখ ৪০ হাজারেও বেশি মানুষ অর্থাৎ ৭১ শতাংশ ভোটার। ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের ৪৫২টি পদের জন্য লড়েন ১১০৪ জন প্রার্থী।
- আরও পড়ুন >> প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ওপর ক্ষুব্ধ ৪ কমিশনার
- আরও পড়ুন >> খিলক্ষেতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক-অস্ত্র ব্যবসায়ী নিহত
বেইজিংপন্থি আইন প্রণেতা জুনিয়াস হো তার আসনে পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘স্বর্গ আর পৃথিবী ওলট-পালট হয়ে গেছে’।
আজ সোমবার হংকং বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘হংকং চীনের একটি অংশ। সেখানে কী ঘটছে সেটি কোনো ব্যাপার নয়।’
নির্বাচনটি হংকং সরকারের জন্য এক ধরনের পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। পাঁচ মাস ধরে চলমান বিক্ষোভ, সহিংসতা ও সংঘর্ষে ‘নিশ্চুপ জনতা’ ভোটের মাধ্যমে সরকারকে সমর্থন জানাবে, এমনটিই প্রত্যাশা ছিল সরকার ও বেইজিংপন্থিদের। কিন্তু এর বিপরীত ফলাফল চোখে পড়েছে। কাউন্সিলের অনেক পদ হারিয়ে ফেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ বেইজিংপন্থি প্রার্থীরা।
- আরও পড়ুন >> লেবানন থেকে দেশে ফিরছেন ১৪৪ অবৈধ প্রবাসী
- আরও পড়ুন >> ভুটান ভ্রমণ : বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের খরচ বাড়ছে
প্রধান নির্বাহী নির্বাচনের জন্য যে কমিটি গঠন করা হবে, তাতে ১১৭ জন কাউন্সিলর থাকবেন। তাই, সত্যিকার অর্থে কাউন্সিলররা কম ক্ষমতাধর হলেও এ নির্বাচনের ফলাফলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই নির্বাচনের ফল হংকংয়ের বেইজিংপন্থি সরকারকেও ব্যাপক চাপের মধ্যে ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।