পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার ধামরাইয়ে পরিবেশ দূষণ ও টপ সয়েল ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ ইটভাটাকে ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এ সময় ইটভাটাগুলোর অনেক অংশ ভেঙে দেয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকার সান, ইউএসএ, হালিমা, ডাউটিয়া ও আজিজ অ্যান্ড ব্রিকসসহ পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ধামরাই থানা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, তাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এই এলাকায় ১৮৮টি ইটভাটা ছাড়পত্র নিয়ে চালু রয়েছে। সবাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছে। তারপরও তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদুল ইসলাম জানান, সাধারণত বাসা বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা থাকার কথা নয়। কিন্তু ডাউটিয়া এলাকার পাঁচটি ইটভাটাই এই আইন অগ্রাহ্য করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়া কৃষি জমির টপ সয়েল ব্যবহার ও পরিবেশ দূষণ করছে ইটভাটাগুলো।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে আজ পাঁচটি ইটভাটাকে ১২ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদের মধ্যে সান, ইউএসএ, ডাউটিয়া ও আজিজ অ্যান্ড ব্রিকস এই চারটি ইটভাটার মালিকরা জরিমানার ৪৮ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করেন। তবে হালিমা ব্রিকস নামে অপর একটি ইটভাটা জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ডাউটিয়া এলাকার এই পাঁচটি ইটভাটার ৪০০-৫০০ মিটারের মধ্যেই হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা ইটভাটা আইনের বহির্ভূত। তাই এসব ইটভাটাকে জরিমানার পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণের পরিমাণ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দূষণ রোধে মহামান্য হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার আশপাশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।