পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় টাঙ্গাইলের সখীপুরে তিন পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সকে আটক করে উত্তমমাধ্যম দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে সখীপুর থানায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে আটককৃত তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সখীপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ির গাবিলার বাজার এলাকায় ইয়াবা দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েন ওই পুলিশ সদস্যরা। পরে ওইদিন রাত পৌনে ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে সখীপুর ও মির্জাপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মির্জাপুরের বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেল ও পুলিশের সোর্স হাসান। অপর তিনজন পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন- ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল হালিম ও মোজাম্মেল এবং পুলিশের সোর্স রাজবাড়ির আল আমীন।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে তারা সেখানে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার এসআই আইনুল হক বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছে। তাদের কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এএসআই রিয়াজুলের নেতৃত্বে ওই পুলিশ সদস্যরা গাবিলার বাজারে গিয়ে পকেটে ইয়াবা দিয়ে হতেয়া রাজাবাড়ির ভাতকুড়াচালার ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ সদস্যদের আটক করে রাজাবাড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার একটি দোকানে নিয়ে যান। সেখানে তাদের উত্তমমাধ্যম দিয়ে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে এলাকার শত শত জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। পরে সখীপুর এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।