নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও খোরাকি ভাতা ফ্রি করাসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠানামা বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর আরো চারটি সংগঠন নৌযান ধর্মঘট এর ডাক দিলেও ওই দিন বিকেলেই আবার প্রত্যাহার করা হয়। তবে ওই দিনে ধর্মঘটে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অংশগ্রহণ ছিল না।
অন্যদিকে আজ শুরু হবে ধর্মঘটের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ছাড়া অন্য সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ নেই। বরং শ্রমিক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো এবারের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
নৌযান শ্রমিকদের একটি অংশ বলছে ইতিমধ্যেই সরকার নৌযান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়া বিষয়ে ফলপ্রসূ সমাধান হয়েছে । সরকার ও মালিকপক্ষ তিন মাসের সময় নিয়েছে সব দাবি পূরণের প্রক্রিয়া হিসেবে । তাই এখনই আর কোন ধর্মঘটের প্রয়োজন নেই।
- আরও পড়ুন >> মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা
- আরও পড়ুন >> ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর ট্রেজারার পদে নিয়োগ পেলেন প্রফেসর ফাহিমা খাতুন
ঢাকা নৌ বন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, শ্রমিকদের একটি অংশ ধর্মঘটের কথা বন্দর এলাকায় ছড়িয়ে দিলেও বেশির ভাগ শ্রমিকরাই এই ধর্মঘটের পক্ষে নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
ওই কর্মকর্তা জানান আজ নির্ধারিত সময়ে সবগুলো লঞ্চ ঢাকা নৌবন্দর ছেড়ে গেছে। আগামীকাল সকাল থেকে নির্ধারিত শিডিউলের লঞ্চগুলো ঘাটে আছে সকালে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।