কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান তিন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, একই উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল হোসেন মালিথার ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ (পলাতক)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ, আব্দুর রহিম, মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী (পলাতক), জিয়ারুল ইসলাম, সম্রাট আলী প্রামাণিক (পলাতক) ও আশরাফ মালিথা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী জাকারুল ইসলামের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করতো প্রতিবেশী মৃত আয়ুব আলীর ছেলে আরিফ। এ ঘটনায় পুনরায় মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করলে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদীর বাবা মজিবর রহমান মাস্টার, চাচা মিজানুর রহমান ও মিনারুল সরদার স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় আসামিরা তাদের পথ আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই মজিবর রহমান মাস্টারের মৃত্যু হয়।
এ সময় স্থানীয়রা নিহতের আরেক ভাই মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত মজিবর রহমানের ছেলে বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
- আরও পড়ুন >> তিন দিনের সরকারি সফরে স্পেনের পথে প্রধানমন্ত্রী
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ভেড়ামারার চাঞ্চল্যকর দুই ভাই হত্যা মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।