নিম্ন আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও হলি আর্টিজান মামলায় দণ্ডিত দুই আসামির মাথায় আইএসের চিহ্ন সম্বলিত টুপি কীভাবে এলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক মামলার শুনানির পর পত্রিকার প্রতিবেদন ও আইএস নিয়ে কাজ করা আইনজীবীর নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এ সময় আদালতে আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, আইএসের টুপি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় আইএসের টুপি নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। আমি তো আইএস ইস্যুতে কথা বলেছি। এখন তো আমি আমার (আইনজীবী জেড আই খান পান্না) নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
তখন হাইকোর্ট বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের বুকে সাহস নিয়ে থাকতে হবে।
তখন আইনজীবী আদালতকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা এ বিষয়ে জানে না। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষও বলছে টুপি কারাগার থেকে আসেনি। তাহলে আই এসের টুপি দিল কে? ফেরেশতা নাকি শয়তান? তখন হাইকোর্ট বলেন, সর্ষের ভেতরে ভূত।
পরে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে (ডিএজি) হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশনা দেন।
দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মামলার ৮ আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি একজন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পেয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
- আরও পড়ুন >> মাদকবিরোধী অভিযান : মেক্সিকোয় ৪ পুলিশসহ নিহত ১৪
এদিকে রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগানের মাথায় জঙ্গি সংগঠন ‘আইএসের টুপি’ দেখা যায়। রিগ্যান ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনের মাথাও আইএসের টুপি দেখা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্ব মহলে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কারা বেষ্টনীর মধ্যে কীভাবে আসামিদের মাথায় এ ধরনের টুপি এলো?