বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করেছে। আজ (১ ডিসেম্বর) থেকে এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের সিটি মেয়র সাঈদ খোকন।
আজ রবিবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে পরিবেশ দূষণ মোকাবেলার অংশ হিসেবে বায়ুদূষণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নগরীতে পানি ছিটানোর ‘স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ এর উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নয়টি গাড়ির মাধ্যমে কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল প্রাইমারি সড়কে পানি ছিটানো হবে।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ডিএসসিসি বরাবরই কাজ করছে। এছাড়া আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব পালন করে মূলত পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু নাগরিকদের কথা বিবেচনা করে আমরা আজ থেকে একটি বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করছি।’
তিনি বলেন, ‘ডিএসসিসির যেসব প্রাইমারি রোড আছে সেগুলোতে আমরা সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত এবং বিকালে দুইটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত দুই বেলা পানি ছিটিয়ে ধুলা এবং বায়ুদূষণ রোধ করার চেষ্টা করবো।’
নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র খোকন।
তিনি বলেন, ‘সড়কসহ যেসব স্থানে উন্নয়নের কাজ চলছে যেসব স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির মাধ্যমে অযথা যদি কেউ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ময়লা, বায়ুদূষণের পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখে, তাহলে আমরা প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।’
কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাকরাইল হতে মৎসভবন, গুলিস্থান রোড, বঙ্গভবনের সামনে, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, আনন্দবাজার, পলাশী, শাহবাগ, কাঁটাবন, সাতমসজিদ রোড, হাজারীবাগ, জিগাতলা, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত, হাতিরপুল, শেরাটন মোড়, মগবাজার, কাকরাইল, শান্তিনগরসহ ডিএসসিসি আওতাধীন প্রায় সব এলাকায় দিনে দুই বার পানি ছিটানো হবে।
বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলায় সৃষ্ট ভোগান্তির জন্য নাগরিকদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করে উন্নয়নের স্বার্থে এটি মেনে নেওয়ার জন্যও নাগরিকদের প্রতি আহবান জানান মেয়র।
- আরও পড়ুন >> তিন দিনের সরকারি সফরে স্পেনের পথে প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া মাঠ পর্যায়ে এসব কাজের তদারকি জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। অহেতুক ও ইচ্ছাকৃত ভোগান্তি এড়াতে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান মেয়র খোকন।
ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ডিএসসিসি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।