১১৯৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ে মূল হোতা গ্রেপ্তার

মত ও পথ প্রতিবেদক

১১৯৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ে মূল হোতা গ্রেপ্তার

এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই এজাহারভুক্ত আসামিকে। তারা হলেন মূল হোতা দিদারুল আলম টিটু এবং তার সহযোগী কবির হোসেন।

বিজয়নগরের মাহাতাব সেন্টার থেকে আজ সোমবার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর তাদের গ্রেপ্তার করে।

সোমবার সন্ধ্যায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

এ সময় এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি দিদারুল আলম টিটু ও তার সহযোগী কবির হোসেন এবং আসামি আব্দুল মোতালেব ও অন্যান্য সহযোগী মেসার্স এগ্রো বিডি এন্ডি জেপি, হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং হেত্ৰা ব্ৰাকা নামায় তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় পোল্ট্রি ফিড মেশিনারি আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিপুল পরিমাণে মদ, সিগারেট, ফটোকপিয়ার মেশিন আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, মোট আসামি ১১ জন। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত  ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে মেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পল্টন থানার মামলা করা হয়। একই দিনে  ৪৩৯ কোটি  ১২ লাখ টাকা এবং ১২ নভেম্বর ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে হেব্রা ব্রাঙ্কো নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা হয়।

গত ৩০ আগস্ট আসামি কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আট কোটি ৩৬ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দর থানায় মামলা করে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সহিদুল বলেন, মামলার পরও গ্রেপ্তারে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। কারণ এর মাস্টার মাইন্ড খুঁজে বের করতে হয়েছে। কারা এর পেছনে আছেন তাদের খুঁজে বের করতে হয়েছে। আর কোথায় গ্রেপ্তার করলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পাব সে বিষয়ও আমরা লক্ষ রেখেছি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে