মতবিরোধে সৃষ্ট ফাটলের মধ্যেই বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ঐক্য ও একাত্মতার ডাক দিয়ে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশের নেতারা।
সামরিক ব্যয়, চীন ও রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হুমকি এবং জোটে তুরস্কের ভূমিকা-এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোটভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরোধ যে বাড়ছে এবারের সম্মেলনে সেটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে।
সম্মেলনের আগেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তপ্ত বাক্যবাণ এবং ন্যাটোর ভূমিকার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ দেশের জোটের আর প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন অনেকে।
ম্যাক্রো সোজাসাপ্টা জানিয়েছেন, ন্যাটো জোটের এখন ‘জীবন্মৃত অবস্থা’। আর মঙ্গলবার ট্রাম্প লন্ডনে নেমেই সাংবাদিকদের বলেছেন, ম্যাক্রোর এই বক্তব্য ‘জঘন্য’। শুধু তাই নয়, বরাবরের মতোই তিনি সামরিক ব্যয় নিয়ে জার্মানির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন।
লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জোটের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অভ্যর্থনা জানানোর আগেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্পষ্টত জোটের একসঙ্গে থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের মধ্যে ঐক্যের চেয়ে অনেক বেশি বিভেদের বিষয় রয়েছে।
এরপরও জোট নেতারা যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা ঐক্যের সুরই বাজিয়েছেন।
- বাংলাদেশের জন্য ১০ হাজার হজ কোটা বাড়ানোর ঘোষণা
- খালেদা জিয়া কারাগারে রাজার হালেই আছেন : প্রধানমন্ত্রী
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপদ থাকতে আমাদের অবশ্যই ভবিষ্যতে একাতাবদ্ধ থাকতে হবে। চীন ও রাশিয়া যে দিন দিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে সেটি উল্লেখ করে মোকাবেলার কথা বলা হয়েছে এতে।
এছাড়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, যতদিন আমরা একতাবদ্ধ থাকব, কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।