মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই সন্তানের জননীর মাথার চুল বঁটি দিয়ে কেটে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সিরাজগঞ্জের ডিসি, এসপি ও ওসিকে বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর আজ রোববার মৌখিকভাবে এ তথ্য জানতে চেয়েছেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে বাশার বলেন, চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে উল্লাপাড়ায় গৃহবধূর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপের অগ্রগতি বুধবারের মধ্যে জানাতে সিরাজগঞ্জের ডিসি, এসপি ও ওসিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, ওয়ার্ডের একজন নেতা যদি পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে যদি গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আইনের শাসন কোথায় থাকে? আসামি সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেয়, কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পায় না। এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা পুলিশ বাহিনীর অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আদালত বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মীরা তারা দলেরও সুনাম নষ্ট করে।
একটি জাতীয় দৈনিকে শনিবার ‘মাছকাটা বঁটি দিয়ে গৃহবধূর মাথার চুল কেটে দিল আ’লীগ নেতা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হয়। এতে বলা হয়, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই সন্তানের জননীর মাথার চুল বঁটি দিয়ে কেটে দিয়েছে উধুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ। তার সঙ্গে ছিল চার সহযোগী। ওই গৃহবধূর বাড়ি উধুনিয়া ইউনিয়নের গজাইল গ্রামে।
অভিযুক্তরা চুল কেটে দেয়ার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা করার পর অভিযুক্তরা ওই গৃহবধূকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি প্রদর্শন করে। ফলে ওই গৃহবধূ এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।