বিরোধী দলগুলোর প্রবল আপত্তি এবং উত্তর-পূর্বে ব্যাপক বিক্ষোভকে উপেক্ষা করেই ভারতের লোকসভায় উত্থাপিত হলো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
আজ সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিতর্কিত বিলটি পেশ করেন। ৯০ মিনিট উত্তপ্ত বিতর্কের পর ২৯৩-৮২ ভোটের ব্যবধানে এটি বিতর্কের অনুমোদন পায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিতর্কিত এ বিলটিকে ‘মুসলিমবিরোধী’ আখ্যা দেয়া হয়েছে। আইনে পরিণত হতে হলে বিলটির এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে হবে।
এই বিল পাস হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতে নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করবে।
বিলটির প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের একটি প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
তারা মনে করছে, এই বিলটি আসলে ১৯৮৫ সালের আমাম চুক্তি বাতিল করার প্রয়াস। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের চুক্তি অনুযায়ী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব অবৈধ অভিবাসী এ দেশে শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে।
আসামের শীর্ষ ছাত্র সংগঠনগুলো হুমকি দিয়েছে, বিলটি পাস হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করবে তারা।
১৯৫৫ সালের মূল নাগরিকত্ব আইনটিতে বলা হয়েছে, অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা কোনো ব্যক্তি যদি ভারতের নাগরিকত্ব প্রার্থী হন, তা হলে তাকে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর এ দেশে বসবাস করছেন এই প্রমাণ দেখাতে হবে।
- বাদলের শূন্য আসনে নৌকার প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন
- প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এবার আন্দোলনের আশা বিএনপিতে!
কিন্তু সেই বিধান বদলাতেই আনা এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, ভারতে টানা ৫ বছর ধরে বসবাস করা অমুসলিমরাই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা শশী থারুরসহ অনেক বিরোধী নেতাই এই সংশোধনীটিকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন।