পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী মনে করেন, জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাব রয়েছে। এজন্য কারাগারে সংশোধনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (আইসিসিবি) আয়োজিত উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলন-২০১৯-এর সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তাগিদ দেন।
আইজিপি বলেন, যারা জঙ্গিবাদের অভিযোগে কারাগারে যাচ্ছে এবং মুক্ত হয়ে ফিরছে তাদের একটি পুনর্বাসন পরিকল্পনা করতে হবে। তারা আমাদেরই সমাজের সন্তান। তাদের মূল সমাজে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমামদেরকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচার করতে বলেছি। এর ফলে যাদের জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তারা ধর্মের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা পেয়ে আর এ পথে যাবেন না। তাদের নিয়ে এনজিওগুলোও অনেক কাজ করতে পারে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ২০১৬ সালের পরে আমাদের দেশে বেশ কিছু অভিযান হয়েছে। আমরা জঙ্গিদের এনকাউন্টার করেছি, ধ্বংস করেছি বলেই এখন এর সুফল ভোগ করছি। কিন্তু বাইরে থেকে আমরা উগ্রবাদীদের চিহ্নিত করি, মামলা দিই, গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের সংশোধন হচ্ছে না। উগ্রবাদের মতো ধ্বংসাত্মক একটি বিষয় মোকাবিলা করার জন্য শুধু আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব না। সমন্বিত প্রয়াসই উগ্রবাদ মোকাবিলা করতে পারে।
- মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: গাম্বিয়া
- মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না : শেখ হাসিনা
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, উগ্রবাদের মতো একটি বিকৃত ধ্বংসাত্মক আদর্শ ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। সম্মিলিত প্রয়াসের লক্ষ্যে জাতীয় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উগ্রবাদের মোকাবেলা করা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য এটা ভাবলে ভুল হবে। এই উগ্রবাদ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরের সদস্যদের সমন্বিত করার যে প্রচেষ্টা আমরা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছি, যার প্রতিফলন এই সম্মেলন।