রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিকদের আমরণ অনশনের আজ দ্বিতীয় দিন। আন্দোলনকারী পাটকল শ্রমিকদের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে কর্মসূচি এলাকা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকালে এবং কোথাও কোথাও দিনের অন্যান্য সময় শুরু হয় এ কর্মসূচি।
গতকালকের মতো চট্টগ্রামে আজ বুধবার আমিন জুটমিলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে। শ্রমিকরা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মিল গেটে অবস্থান করছেন।
এর আগে চট্টগ্রামের ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মিলগেটে পূর্বঘোষিত আমরণ কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁরা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মিলগেটে অবস্থান নেন।
আমিন জুট মিল সিবিএর দপ্তর সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, ১১ দফা দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলেও আমরণ অনশন চলছে। শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ বন্ধ রেখে মিলগেটে জড়ো হয়েছেন। আজও মিলগেটে বক্তব্য দিচ্ছেন।
খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, ইস্টার্ন, খালিশপুর, দৌলতপুর, আলিম, যশোরের জেজেআই, কার্পেটিং মিলের হাজার হাজার শ্রমিক এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। কর্মসূচি এখনো চলমান।
নরসিংদীতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ইউএমসি জুটমিলের প্রধান ফটকে চলছে আমরণ অনশন কর্মসূচি। কর্মসূচিতে বক্তব্য দিচ্ছেন শ্রমিক নেতারা। তাঁরা বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষণা দিয়েও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিকরা। এ জন্য বাধ্য হয়ে আন্দোলনসহ আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
- মানবতাবিরোধী অপরাধ : রাজশাহীর টিপু সুলতানের মৃত্যুদণ্ড
- নিউ জার্সিতে গোলাগুলি: পুলিশসহ নিহত ৬
- আর্থিক সীমাবদ্ধতাই উন্নয়নশীল দেশের এসডিজি অর্জনে বড় বাধা : রাষ্ট্রপতি
মিল শ্রমিকরা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ধ্বংস করার জন্য একটি মহল কাজ করছে। সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও তারা সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে না। সময়মতো কাঁচা পাট না কেনায় উৎপাদিত পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতিতে মিল বেহালে যাচ্ছে। শ্রমিকরা মিল বন্ধ করতে চান না, কিন্তু তাঁদের বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলনে যেতে হচ্ছে।
তাঁরা বলেন, আন্দোলন মাঝপথে থেমে গেলে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় না। শ্রমিকদের ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয়।