মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলে একটি নৌকা থেকে ১৭৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির নৌবাহিনী। আজ মঙ্গলবার মিয়নামার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাগরপথে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের এভাবে দেশত্যাগের চেষ্টা এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, মিয়ানমারে এখনো তাদের ওপর নির্যাতন চলছে।
সামরিক মুখপাত্র তুন তুন নি জানান, তানিনথারি বিভাগের কাওথাউং শহরতলির উপকূল থেকে রোববার এক দল রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ শিশুও ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের নৌবাহিনী সাগরে একটি সন্দেহজনক নৌকা থেকে তাদেরকে খুঁজে পায়। পুলিশ আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণে বাঁচতে সাত লাখ ৩০ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ে’ এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
কাওথাউং শহরতলির প্রশাসনিক দপ্তরের সহকারি পরিচালক মায়াত থু জানিয়েছেন, রোববার আটক হওয়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে নাকি মিয়ানমার থেকে রওনা হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।
- বিদেশে-জেলখানায়ও থেমে নেই পাকিপ্রেমীদের চক্রান্ত : প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব জয়নুল আবেদীন আর নেই
তিনি বলেন, তাদেরকে আমরা নিরাপত্তা প্রহরীসহ সাগরে কাওথাউংয়ের একটি দ্বীপে রেখেছি।
বাংলাদেশের কোস্টগার্ড কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিয়ানমারের উদ্দেশে কোনো নৌকা রোহিঙ্গা শিবির থেকে গিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য থাকলে তাদেরকে আমরা আটকাতাম।