গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় নিজের নাম চলে আসা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু বলেছেন, নিশ্চয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে জামায়াতের দোসররা রয়েছে। তা না হলে এ ধরনের ভুলে ধরা একটি রাজাকারের তালিকা প্রকাশ হতো না। যথা দ্রুত সম্ভব এই তালিকা সংশোধনের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন গোলাম আরিফ টিপু।
মহান বিজয় দিবসের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তবে ঘোষিত তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোলাম আরিফ টিপুসহ রাজশাহীর আরও দুই ব্যক্তির নাম ওঠে এসেছে এই তালিকায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ছিলেন বলে প্রমাণ রয়েছে।
- আরও পড়ুন >>পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড
- আরও পড়ুন >> ‘ভুলের পরিমাণ বেশি হলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার’
- আরও পড়ুন >> গ্রাম পুলিশকে ১৯ ও ২০তম গ্রেডে উন্নীত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
রোববার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘সারাজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাটিয়ে দিলাম আর আজ এই অভিযোগ পেলাম। আমি ব্যথিত, মর্মাহত। আমি বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি এবং কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে চাই না। আমি কোনো দুর্বলতা দেখাতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘অন্যভাবে সমাধান না হলে, আদালতে গিয়ে আইনের আশ্রয় নেব। সারা জীবন বাঙালি, দেশের জন্য লড়াই করেছি। এভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই।’
এদিকে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চলে আসায় দুঃখ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুলের পরিমাণ বেশি হলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ভুলের পরিমাণ কম হলে ভুলবশত যাদের নাম এ তালিকায় এসেছে, সেগুলো প্রত্যাহার করা হবে।