প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া আগামী ৮ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তদরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। ওইদিন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। এ সময় প্রয়োজনীয় তথ্য না জানানোয় অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন আদালত।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
জামিউল হক ফয়সাল বলেন, বিবাদীদের বিষয়টি আদালতকে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু না জানানোর ফলে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের পরীক্ষা পুনরায় নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে হাইকোর্টে ৮ জানুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন >>পদ্মা সেতুতে ১৯তম স্প্যান: দৃশ্যমান ২ হাজার ৮৫০ মিটার
- আরও পড়ুন >> রাজধানীতে চীনা নাগরিক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
- আরও পড়ুন >> ভারতের নাগরিকত্ব বিল পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ইমরান
২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর পিইসি একটি নির্দেশনা জারি করে পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে। ওই নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’ নেওয়ার বিধান করা হয়। ওই বিধানের ক্ষমতাবলে গত পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত ২১ নভেম্বর প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল আদালতে বলেছিলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বা ১১ বছর। এ বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করা হলে তার মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলবে। এরপর স্বপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করেন আদালত।