বঙ্গবন্ধু বিপিএল : কুমিল্লার কাছে রংপুরের দ্বিতীয় হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কুমিল্লার কাছে রংপুরের দ্বিতীয় হার

গত ১১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কাছে ১০৫ রানে হেরেছিল রংপুর রেঞ্জার্স। এবার চট্টগ্রামে গিয়েও সেই কুমিল্লার বিপক্ষে হার এড়াতে পারল না নবী-মোস্তাফিজদের দল। বিপিএলে আজ বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুরের দেয়া ১৮২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। দলের পক্ষে ২৪ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মালান। ৪০ বলে ৪৯ করেন সাব্বির রহমান। ৩৪ বলে ৪১ করেন সৌম্য। ১৫ বলে ৩২ করেন ভানুকা রাজাপক্ষে। রংপুরের বোলারদের মধ্যে নবী ১টি, মুকিদুল ১টি, মোস্তাফিজ ১টি ও অ্যাবেল ১টি করে উইকেট নেন।

বড় লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে কুমিল্লা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তাদের দলীয় অর্ধশত পূরণ হয়। দলীয় ৬১ রানে নবীর বলে নাদিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ভানুকা। ১৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান করেন তিনি।

ভানুকা ফিরলেও দলের রানের গতি থেমে ছিল না। দলীয় ৯০ রানে ফিরে যান সৌম্য। এরপর ৫৬ রানের জুটি গড়েন মালান-সাব্বির। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ হন সাব্বির। এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হয়নি তার।

সাব্বির ফেরার পর মালানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শানাকা। দুজনে মিলে ৩২ রানের জুটি গড়েন। তবে, ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হয়ে যান শানাকা। তিনি আউট হওয়ার পরের বলেই চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মালান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে রংপুর রেঞ্জার্স। দলের পক্ষে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ২১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ২৭ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ রান করে আউট হন। ২০ বলে ২৬ রান করেন মোহাম্মদ নবী।

অন্যদের মধ্যে ১২ বলে ২১ করেন গ্রেগরি। ১১ বলে ১৫ করেন নাদিফ। ১০ বলে ১৫ করে অপরাজিত থাকেন আরাফাত সানি। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে মুজিব উর রহমান ২টি, সানজামুল ইসলাম ১টি, আল-আমিন হোসেন ১টি ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

রংপুর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলে। পঞ্চম ওভারে দলীয় অর্ধশত পূরণ করে তারা। দলীয় শতরান পূর্ণ হয় ১২তম ওভারে। রংপুরের স্কোর আরো বড় হতে পারতো। কিন্তু মাঝে কিছু উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তারপরও নবী-গ্রেগরির ছোট্ট তবে কার্যকরী ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় রংপুর।

দুই দলেরই এটি তৃতীয় ম্যাচ ছিল। রংপুর তাদের তিন ম্যাচেই হারল। অন্যদিকে, তিন ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় জয় পেল কুমিল্লা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৬ উইকেটে জয়ী কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ১৮১/৮ (২০ ওভার)

(শাহজাদ ৬১, নাঈম শেখ ৮, অ্যাবেল ২৫, আল-আমিন ১, নবী ২৬, গ্রেগরি ২১, নাদিফ ১৫, জহুরুল ০, আরাফাত সানি ১৫*, মোস্তাফিজ ১*; মুজিব উর রহমান, আবু হায়দার ০/৩৯, সানজামুল ১/৩৮, আল-আমিন হোসেন ১/৪৫, শানাকা ০/১৬, সৌম্য ১/১৬)।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ইনিংস: ১৮২/৪ (১৯.৪ ওভার)

(ভানুকা ৩২, সৌম্য ৪১, সাব্বির ৪৯, মালান ৪২*, শানাকা ১২, ইয়াসির ০*; আল-আমিন ০/১৭, নবী ১/২৫, মুকিদুল ১/২৬, গ্রেগরি ০/৫৫, মোস্তাফিজ ১/৩৫, অ্যাবেল ১/২১)।

ম্যাচ সেরা: ডেভিড মালান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে