সীমান্ত রক্ষায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

সীমান্ত রক্ষায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের বিজিবি বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত রক্ষায় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।’

আজ বুধবার ‘বিজিবি দিবস-২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা শুধু সীমান্ত রক্ষা নয়, তারা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চোরাচালান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করবেন। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবেন না।’

বিজিবির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছেন। তৎকালীন ইপিআর সমাবেশ তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং আপনাদের প্রতি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা যুগ যুগ ধরে চলবে। এ নির্দেশগুলো মেনে বাহিনীর দক্ষতার পরিচয় দেবেন এবং বিজিবির সুনাম অক্ষুন্ন রাখবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তা পারেননি। সে দায়িত্ব এখন আমার-আপনাদের সকলের ওপর। স্বাধীনতার পরে একটি বিধস্ত দেশকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।’

‘তার দেখানো পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। খাবারের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হয় না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন দেশ উন্নত হলে তার সুফল সকলেই পাবেন।’

বিজিবিকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ জন্য বিজিবি ভীষণ ২০৪১ ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি হেলিকপ্টারসহ দুর্গম এলাকায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সরবরাহ করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।’

এসময় বাহিনীর নিয়ম নীতি মেনে, কমান্ড মেনে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে সকাল ১০টায় পিলখানা সদর দপ্তরে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পিলখানায় বীর-উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে