নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অভ্যন্তরীণ উত্তাপের মধ্যেই পাক-ভারত সীমান্ত রেখায় টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় ভারতীয় দুই জওয়ান নিহত হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে দিল্লি।
দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে দ্রুত অবনতি হতে পারে। আজ বুধবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছেন, সীমান্তরেখার পরিস্থিতি যে কোনো সময় দ্রুত অবনতি হতে পারে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে দেশটির অভ্যন্তরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গোটা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কার্যত কয়েকটি প্রদেশ অচল হয়ে পড়েছে।আইনটি বাতিলের জন্য বিরোধীদলগুলো মাঠে নেমেছেন। সুপ্রিম কোর্টে করা হয়েছে ৬০টি মামলা। এমন অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যেই মঙ্গলবার সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলায় দুই ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর মধ্যে চাপ বেড়েছে।
গত আগস্ট মাসে দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নেয়ার পর থেকেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে এবং সীমান্তরেখা বরাবর গোলাগুলি বর্ষণের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
- মুসলিম নন বলে নিশ্চিন্ত, তাহলে মূর্খের স্বর্গে আছেন : সানা গাঙ্গুলি
- সরকারবিরোধী আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান বিএনপির
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি গত মাসে সংসদে বলেছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে সীমান্তরেখায় ৯৫০টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর ভারতীয় সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিচ্ছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ নারাবানে।