সরকার চলতি অর্থবছরের মধ্যে ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করতে কাজ করছে। এর মধ্যে পাঁচটি খাতকে খুব শিগগিরই শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয় নগরে নব নির্মিত শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একথা বলেন।
জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের অষ্টম সভা উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএলও কনভেনশন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪-১৮ বছরের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন কাজে বাবা-মাকে সহযোগিতা করতে পারবে।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম কমেছে, তবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম রয়েছে এটি অস্বীকার করা যাবে না। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম মুক্ত করে সকলের সহযোগিতায় আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যা যা করা দরকার, সবকিছু করবে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে নেয়া প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে প্রত্যাহার করা হবে।
শ্রম সচিব কে এম আলী আজমের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন, ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বিকেএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কে এস সাইফুদ্দিন, জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।