বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে কোনও দিকনির্দেশনা নেই। জাতির একটা প্রত্যাশা ছিলো যে, গণতন্ত্র উত্তরণের একটা পথ দেখা যাবে। কিন্তু তাদের সম্মেলনে সেই পথ তারা দেখাতে পারেনি।
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক যে উন্নয়ন তার কোনওটার জন্য, সংকট উত্তরণের জন্য কোনও দিকনির্দেশনা দিতে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে। এখানে ব্যক্তি ও দলের প্রশংসা; ব্যক্তি বন্দনা করা হয়েছে। কিন্তু জাতির যে সংকট সেই সংকট উত্তরণের জন্য বেশি কিছু এই সম্মেলনে আসেনি।
বিএনপির কাউন্সিল কবে হবে প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, তারা এখন একটা প্রচণ্ড বৈরী ও প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি করছেন। রাজনীতির কোন ও সুযোগ তারা পাচ্ছেন না। যার ফলে তাদের রাজনীতির স্বাভাবিক যে কার্যক্রম তাই তারা পরিচালনা করতে পারছেন না। বেশির ভাগ জায়গায় কাউন্সিল করতে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলাগুলোতে যে কাউন্সিল সেগুলো করতে দেওয়া হয় না।
- আরও পড়ুন >> নাগরিকত্ব আইন: বিক্ষোভে নিহত ২০, জরুরি বৈঠকে মোদি
- আরও পড়ুন >> আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে জায়গা পেলেন যারা
- আরও পড়ুন >> কোনো নাগরিক যেন তার অধিকার বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, এর মধ্যেও তারা কাজ করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলকে গুছিয়ে আনা হচ্ছে। যত দ্রুততর সময়ে এটা শেষ করা যায় তত দ্রুত কাউন্সিল করতে চেষ্টা করা হবে।
জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রয়াত মুরাদের জীবন-কর্ম তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
মিলাদ মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।