সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন ও জিএম কাদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির এক সদস্যের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক।
পরে নুর উস সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নিয়োগটা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন ও জিএম কাদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান, জাপার গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের কোনো পদে আসতে হলে তাকে কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে হবে। কিন্তু জিএম কাদেরের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দিয়ে কোনো উত্তর না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পার্টির ওই সদস্য।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি তৎকালীন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ছোট ভাই ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন।
চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে আকস্মিকভাবে কাদেরকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। এরপর ৪ এপ্রিল আবার কো-চেয়ারম্যান পদে ফিরিয়ে আনেন। এর মাঝে ৫ মে তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এরশাদ।
পরে চলতি বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তার মৃত্যুর পর ১৮ জুলাই রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন। প্রথমে ওই ঘোষণার বিরোধিতা করলেও পরে এরশাদের স্ত্রী রওশন ও জিএম কাদেরের মধ্যে সমঝোতা হয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাপা মহাসচিব জানিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদের। অন্যদিকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন রওশন এরশাদ।