রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এরা তহবিল সংগ্রহের জন্য ছিনতাই ও ডাকাতি করত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন (২৫), নুর আলম (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (২৯), আবুল মিয়া (৩০), আবদুর রহমান (৩০) এবং আক্তার হোসেন (৩৪)। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল আজ শুক্রবার ভোরে বাড্ডার সাতারকুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি, তিনটি ছুরি, দুটি মুখোশ, একটি খেলনা পিস্তল এবং ১০০ মিলিগ্রাম ক্লোরোফর্ম উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার তাদের প্রত্যেকের ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে শুক্রবার গুলিস্তানের মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে সিটিটিসি এবং ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্র্যাব) মধ্যে আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মধ্য বিরতিতে এক ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তের সময় গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, গত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উজ্জল ওরফে রতনের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা তহবিল সংগ্রহের জন্য ছিনতাই ও ডাকাতি করত। তহবিলের টাকা দিয়ে তারা অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সে অস্ত্র উজ্জল এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত করতে ব্যবহার করবে বলেও তারা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে মনিরুল ইসলাম আরও জানান, তারা উজ্জলের অধীনে গঠিত একটি দলের সদস্য। তাদের পরিকল্পনায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর কথা ছিল বলে জানা গেছে।
- রওশনের জন্য জাপায় নতুন পদ ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষক’, কাদের চেয়ারম্যান
- সন্ত্রাস মোকাবিলায় একজোট হলো ঢাবির ১২ ছাত্রসংগঠন
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ২০১৬ সালে রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার যে সক্ষমতা জঙ্গিদের ছিল, এরপর আমরা দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করে দিয়েছি। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে। এখন আর জঙ্গিদের এ রকম হামলা করার সক্ষমতা নেই। হুজি সাংগঠনিকভাবে অতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের এই ডাকাতির গ্রুপটির দুইএকজন এখনও বাইরে আছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত মার্চের শুরুর দিকে, যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা এলাকা থেকে হুজিবির আরও ১২ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।