ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে ভোটগ্রহণে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। ইভিএমের কোনো অনৈতিক ব্যবহার সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ রোববার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রায় ৩৫ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি না থাকলেও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের দাবি, ইভিএমে কারচুপির সুযোগ রয়েছে। সরকারি দলকে জেতাতে ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি।
ইভিএম সম্পর্কে জানাতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সাইদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মিলে দুই হাজার ৬০০টি কেন্দ্র। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৬০০ বা তার বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ভোটারদের প্রশিক্ষিত করতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছি। লিফলেট, বুকলেট ও টিভি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছি।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা বলেন, ইভিএমে টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ভোটাররা ইভিএমে যাতে ভোট দেয়ার সম্পূর্ণ ধারণা পেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হবে। সেখানে সহজেই লেখা থাকবে মাত্র দুই বোতামে চাপ দিয়ে ভোট প্রদান করার বিষয়ে এবং কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে।
সাইদুল ইসলাম বলেন, ভোটের আগে ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি প্রত্যেক কেন্দ্র ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কীভাবে ভোট দিতে হবে সে বিষয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। ২৮ জানুয়ারি ফাইনাল মক ভোটিং করা হবে, সেখানে সশস্ত্রবাহিনী টেকনিক্যাল টিমও মোতায়েন থাকবে। ৩০ তারিখের মতো সেদিন মক ভোটিংয়ে কেন্দ্রগুলো সাজানো হবে।
- আসামে বৃহত্তম বন্দিশিবির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ
- সশস্ত্রবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী
এনআইডি ডিজি বলেন, সবাই যেন খুব সুন্দর করে ইভিএমে ভোট দিতে পারে সেজন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার যারা রয়েছেন, তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করলে তাদের জন্য সুবিধা হবে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ হবে। সেখানে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার মোতায়েন থাকবে।