নতুন বছরে বিএনপির নতুন স্বপ্ন

মত ও পথ প্রতিবেদক

বিএনপি
বিএনপি। ফাইল ছবি

সংসদীয় বিরোধীদল না হলেও দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবেই পরিচিত বিএনপি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবির পর সেই নির্বাচন বাতিলে অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি-ধামকি দিলেও বছরব্যাপী রাজপথে তাদের নিষ্ক্রিয়তাই দেখা গেছে।

সেই নির্বাচনে নিজেদের যে ক’জন প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদেরও সংসদে পাঠায় দলটি। নির্বাচন বাতিলের দাবি থেকে অনেকটা সরে গিয়ে তারা বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে। কিন্তু আন্দোলন তো দূরে, আইনি লড়াই চালিয়েও সদ্যবিদায়ী বছরে দলের প্রধানকে কারামুক্ত করতে পারেনি বিএনপি।

universel cardiac hospital

আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারার ব্যর্থতা, দলীয় চেয়ারপারসনকে কারামুক্ত করতে না পারাসহ বিভিন্ন অপ্রাপ্তি মিলিয়ে বিদায়ী বছরটি একেবারে হতাশার ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য। যদিও এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদেরই অভিযুক্ত করে বিএনপি নেতারা বছরটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যার বছর’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

তবে নতুন বছর অর্থাৎ ২০২০ সালকে সামনে রেখে নতুন স্বপ্নে বুক বাঁধছেন তারা। এই বছরকে ‘গণতন্ত্রের বছর’ হিসেবে দেখতে চাইছেন তারা। সেজন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন-সংগ্রামের কথাও বলছেন। তৃণমূল নেতারাও তাকিয়ে আছেন চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাকের দিকে।

নতুন বছরের প্রত্যাশা সম্পর্কে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’র সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২০ এমন একটি সালটি হবে, যা হবে দেশের গণতন্ত্রের। যে সালটি হবে মানুষের হাসিখুশির। যেই সালে আমরা পত্র-পত্রিকা খুলে মানুষকে আর কাঁদতে দেখব না। আমরা যখন পত্র-পত্রিকা হাতে নেব তখন মানুষের হাসি দেখব। ২০২০ সাল হবে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সাল। যেই সাল হবে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার সাল।

কৃষক দলের আরেক নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের প্রত্যাশা, নতুন বছরে ‘গণতন্ত্ ’ ফিরে আসবে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নতুন বছর হচ্ছে গণতন্ত্রের বছর। গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার পক্ষে যারা কাজ করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করে, যারা দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে আছে, যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, নতুন বছর তাদের জন্য। যাদের বিরুদ্ধে অপকর্ম, ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট এবং অপশাসন, গণতন্ত্র নির্বাসনের অভিযোগ আছে, যারা সবকিছু কলুষিত করেছে তাদের জন্য ২০২০ পরাজয়ের সময়। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অধিকার অর্জন করেছে, এ বছর সেই অধিকার অর্জনের মধ্য দিয়ে তারা বিজয়ের পতাকা ওড়াবে।

বিদায়ী সালকে ‘গণতন্ত্র হত্যার বছর’ উল্লেখ করে নতুন বছরের প্রত্যাশা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিগত বছরটি ছিল গণতন্ত্র হত্যার বছর। আমরা সবসময়ই নতুন বছরে নতুন করে ভাবতে চাই। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই এবং নতুন করে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য দলকে আমরা আরও শক্তিশালী করতে চাই।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে