প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার কফিনের পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে সাবেক এই সংসদ সদস্যের কফিনে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এরপর মরহুমার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বাপ্পির রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব অ্যাডভোকেট বাপ্পির কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া মরহুমার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির আইনজীবী ফখরুল ইমাম বাপ্পির কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অ্যাডভোকেট বাপ্পির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রীবর্গ, ডেপুটি স্পিকার, পার্লামেন্ট সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় মরহুমার রুহের মাগফিরাত করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।
এডভোকেট বাপ্পি নবম ও দশম সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি নির্বাচিত হন।
বাপ্পি (৪৯) আজ সকাল আটটার দিকে মারা যান। তিনি ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
- বিএনপি গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না : ওবায়দুল কাদের
- ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরীর শোক
- সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি আর নেই
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)’র প্রসিকিউটর এবং সুপ্রিম কোর্টের অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাটর্নী জেনারেল ছিলেন।