ঢাকা সিটি কর্পোরেশন : সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায়

সম্পাদকীয়

ডিএনসিসি-ডিএসসিসি
ফাইল ছবি

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে- এটা ঢাকাবাসীর জন্য আনন্দ সংবাদ। আর এই আনন্দের মধ্যেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। যে কোন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ, চায়ের কাপে ঝড়, আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। ঢাকায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও এই ভিন্নধর্মী উত্তাপ-উত্তেজনা এবং চায়ের কাপে ঝড় তোলা চলছে নিত্য।

আমরাও মনে করি- নির্বাচন মানেই উৎসব। সচেতন নাগরিক হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগে ভিন্ন ধরনের আনন্দ ও গৌরব বোধ করেন মানুষ। আশা করি- এবার ভোটযুদ্ধ জমবে। কেননা এবার বড় সব দলই ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিঃসন্দেহে সুসংবাদ।

এবারের সিটি নির্বাচনে সব কেন্দ্র ও বুথে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। এটিও নতুন ও কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়। ইভিএমের ওপরে কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। নির্বাচনেও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটছে- এটি আশার কথা অবশ্যই।

অন্যদিকে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ ও বিজিবি। সেনাবাহিনী থাকবে না। তবে ইভিএম পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে দু’জন সেনা সদস্য থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। নির্বাচন নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। কমিশন বলেছে, রাতে যাতে ভোটচুরি না হয়, সে জন্য ভোটের সময়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, বিশেষ করে ইভিএম ব্যবহারের কথা ভেবে। আমাদেরও প্রত্যাশা, ইভিএম-এর সফল ব্যবহার হোক, নির্বাচন সব দিক থেকে সুন্দর ও সুষ্ঠু হোক।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে, এটা স্বস্তির বিষয়। যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সব থেকে কার্যকর রক্ষাকবচ। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অবাধ, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে- এটিই নগরবাসীর প্রত্যাশা।

সময় মত নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতাণ্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম বিষয়। নির্বাচন কমিশন এ প্রথা মেনেই তফসিল ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করি- কমিশন দলমতের উর্ধ্বে ওঠে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। এবং একই সঙ্গে নগরবাসীও নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করে বেছে নেবেন তাদের কাঙ্ক্ষিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের।

আমরা আশা করি- এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট নিয়ে যেন কোন ধরনের অনাস্থার সৃষ্টি না হয়। কেননা নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রায়ই নানামুখী আলোচনা সমালোচনা হয়। সবকিছুকে পেছনে ফেলে কমিশনের জন্য নতুন বছরের অন্যতম চ্যালেঞ্জ নিজেদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আর সরকার দলকে মনে রাখতে হবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে সরকারের তেমন কিছুই আসে যায় না। সুতরাং গণতন্ত্রের স্বার্থে সবার মধ্যে শুভবোধ জাগ্রত হোক।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে