বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আজ মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ইমরুল কায়েস ও লেন্ডল সিমন্সের হাফ সেঞ্চুরিতে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই এই দুই দলের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তাদের সামনে এখন শীর্ষস্থান দখলের লড়াই। এই জয়ের ফলে রাজশাহীকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে উঠে গেছে চট্টগ্রাম। ১১ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ১৬। আর ১১ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাজশাহী।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রাজশাহীর দেয়া ১৬৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। দলের ওপেনার সিমন্স ৪৩ বলে ৫১ করে আউট হন। ৪১ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ইমরুল।
চট্টগ্রামের হয়ে এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন ক্রিস গেইল। তাই তাকে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনাও ছিল বেশি। শুরুটাও তিনি ভালো করেছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। ১০ বলে ২৩ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এই ইনিংস খেলতে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারেন গেইল।
এরপর সিমন্স ও ইমরুল কায়েস রীতিমতো ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন। দুজনে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১২ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান সিমন্স। তারপর অধিনায়ক রিয়াদ নেমে ৬ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। পরে ইমরুল আর ওয়ালটন ৪০ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী রয়্যালস। রাজশাহীর ওপেনার লিটন দাস ৪৫ বলে ৫৬ রান করেন। ১০ বলে ২০ করেন আন্দ্রে রাসেল। ৮ বলে ২১ করেন ফরহাদ রেজা। চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন জিয়াউর রহমান।
রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে। দলীয় ১৬ রানে ওপেনার আফিফ ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭ রানের পার্টনারশিপ করেন লিটন ও ইরফান। অষ্টম ওভারে ইরফানের বিদায়ের পর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শোয়েব মালিক।
১৩তম ওভারে জিয়াউর রহমানের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন লিটন। এরপরই ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইন আপ। ১৬তম ওভারে বড় দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল ও রবি বোপারাকে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন।
- প্রতিশোধের ১৩ রূপরেখার দুর্বলটিও হবে ঐতিহাসিক দুঃস্বপ্ন : ইরান
- পরোয়ানা না থাকলে প্রার্থী ও সমর্থকদের গ্রেফতার না করার নির্দেশ
১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজেই ক্যাচ নিয়ে অলক কাপালিকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান জিয়াউর। ১৯তম ওভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুক্তার আলীর হাতে ধরা পড়েন শোয়েব মালিক। শেষদিকে ফরহাদ রেজা ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের রান কিছুটা বাড়িয়ে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৭ উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
রাজশাহী রয়্যালস ইনিংস: ১৬৬/৮ (২০ ওভার)
(লিটন ৫৬, আফিফ ৯, ইরফান ১৮, শোয়েব মালিক ২৮, আন্দ্রে রাসেল ২০, বোপারা ৪, অলক কাপালি ১, ফরহাদ রেজা ২১, কামরুল ইসলাম রাব্বী ৩*; নাসুম আহমেদ ০/৩৩, রুবেল হোসেন ৩/২০, মাহমুদউল্লাহ ০/১৫, কেজরিক উইলিয়ামস ০/৩৮, মুক্তার আলী ০/৪১, জিয়াউর রহমান ৩/১৮)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৭০/৩ (২০ ওভার)
(সিমন্স ৫১, গেইল ২৩, ইমরুল ৬৭*, মাহমুদউল্লাহ ১০, ওয়ালটন ১৪*; আন্দ্রে রাসেল ০/৩০, মোহাম্মদ ইরফান ০/৩০, আফিফ হোসেন ০/২২, কামরুল ইসলাম রাব্বী ১/২০, তাইজুল ইসলাম ০/১০, রবি বোপারা ০/২৭, অলক কাপালি ০/১৩, ফরহাদ রেজা ১/১৭)।
ম্যাচ সেরা: ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।