ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯২ সালে আজকের এই দিনে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল। চিরতরুণ এই নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের।
এ বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, আমরা প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণ করে প্রতি মাসেই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকি। আজ আমাদের চিরসবুজ নায়ক জাফর ইকবালের মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আজ বাদ আসর শিল্পী সমিতিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে।
১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের রোমান্টিক হিরো, সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা জাফর ইকবাল। তিনি ছিলেন আশির দশকের বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তার বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ও ছোট বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। এরা দুজনই সংগীতশিল্পী।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে জাফর ইকবাল চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘আপন পর’। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কবরী। জাফর ইকবালের সঙ্গে অভিনেত্রী ববিতা জুটি হয়ে প্রায় ৩০টির মতো ছবি করেন।
১৯৮৪ সালে আনোয়ার পারভেজের সুরে রাজ্জাক অভিনীত ‘বদনাম’ ছবিতে জাফরের গাওয়া ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’ জনপ্রিয় গানগুলোর অন্যতম।
- কাল শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি
- সিটি নির্বাচনে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে : এইচ টি ইমাম
জাফর ইকবাল ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার বেশির ভাগই ছিল ব্যবসাসফল। ১৯৮৯ সালে জাফর ইকবাল অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের ছবি ‘অবুঝ হৃদয়’ দারুণ ব্যবসাসফল হয়। এ ছবিতে চম্পা ও ববিতার বিপরীতে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। ববিতার সঙ্গে তার জুটি ছিল দর্শকনন্দিত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন জাফর ইকবাল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। ‘সূর্যসংগ্রাম’ ও এর সিক্যুয়াল ‘সূর্যস্বাধীন’ চলচ্চিত্রে ববিতার বিপরীতে অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে ‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় তাকে সে প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।