ইরানে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও ২৪ জন আহত হয়েছেন। রাজধানী তেহরান থেকে দেশটির গোলেস্তান প্রদেশের গোনবাদের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ইরানের স্থানীয় দৈনিক ইন্তেখাবের বরাতে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত লাগোয়া ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় গোলেস্তান প্রদেশের গোনবাদ নামক ওই এলাকা রাজধানী তেহরান থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জানালাভাঙা একটি বাস মহসড়কের একপাশে উল্টে পড়ে রয়েছে।
তেহরানভিত্তিক দৈনিক শারাগের এক অনলাইন প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের বরাতে বলা জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সিও (ইলনা) মাজানদারান প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটিই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে।
দুর্ঘটনাস্থলের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইরানের জরুরি সেবা বিভাগের দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ভেতর থেকে হতাহত যাত্রীদের বের করে আনছেন। এছাড়া মেডিকেল বিভাগের কর্মীরা আহত যাত্রীদের সবাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে তোলার চেষ্টা করছেন।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ইরানে গড়ে যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তা গোটা বিশ্বের সড়ক দুর্ঘটনায় তুলনায় ২০ গুণ বেশি। দূর্বল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলার এসব দুর্ঘটনা মোকাবিলার বড় অন্তরায়।
- আরও পড়ুন >> ‘আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত’
- আরও পড়ুন >> অকাল মৃত্যু সবাইকে কষ্ট দেয়: প্রধানমন্ত্রী
- আরও পড়ুন >> ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মার্কিন ঘাঁটির রাডার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস!
সংস্থাটির দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ইরানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ একটি ব্যাগে করে বহন করা হয়। ২০১৭ সালের মে মাসে তেহরানভিত্তিক দৈনিক ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইরানে প্রতি প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আহত হয় ৮ লাখ মানুষ।