সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণরত সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন সেনাসদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। ফ্লোরিডার নৌঘাঁটিতে বন্দুক হামলার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন শনিবার জানিয়েছে, বহিষ্কৃত এসব সৌদি সেনার বিরুদ্ধে হামলাকারীকে সহায়তায় অভিযোগ আনা হয়নি। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবার্ট কারভার বলেন, পেনসাকোলা বিপর্যয়ের পর একটি পর্যালোচনা চালিয়ে সৌদি আরবের বিদেশি সামরিক শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সীমিত করে প্রতিরক্ষা দফতর। এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া জোরালো করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেই প্রশিক্ষণ এখনও স্থগিত আছে আর আমরা নতুন পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি।
৬ ডিসেম্বরের ওই হামলায় সৌদি বিমানবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোহাম্মেদ সায়ীদ আলশামরানি (২১) মার্কিন তিন নাবিককে গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পাল্টা গুলিতে ২১ বছর বয়সী বন্দুকধারীও নিহত হন।
কিন্তু যেসব সৌদি সামরিক সদস্যকে বহিষ্কার করা হচ্ছে তারা আলশামরানিকে সহায়তা করার দায়ে অভিযুক্ত নন বলে এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন।
- হজযাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে প্রাক-নিবন্ধনের আহ্বান
- নিঃশব্দে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অপর নাম ইভিএম : রিজভী
ওই ঘটনার পর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। নিজেদের কোয়ার্টারে আটক রাখা হয় সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন সামরিক প্রশিক্ষণার্থীকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সৌদি আরবের প্রায় সাড়ে আটশ’ সামরিক প্রশিক্ষণার্থীর ওপর তদন্ত শুরু করে পেন্টাগন।