ঢাকা সিটি নির্বাচন ঘিরে ভোটের আগে-পরের পাঁচদিন ঢাকায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্ত্র পরিবহন, বহন ও প্রদর্শনে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
রোববার দুপুরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র পরিবহন, বহন ও প্রদর্শন করা যাবে না; নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে; পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, আনসার প্রস্তুত থাকবে এবং স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পালন করবে। তাছাড়া সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সোস্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
এবার দুই সিটিতে ১৭২টি ওয়ার্ডে মোট দুই হাজার ৪৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে মোবাইল টহল, গোয়েন্দা টিমসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি সিটি করপোরেশন এলাকায় দুইটি করে সাব-কন্ট্রোল রুম থাকবে।
এছাড়া ভোটের দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো মোটরসাইকেল, ট্যাক্সি ক্যাব, ট্রাক ও ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আর সীমিত আকারে চলবে পাবলিক বাস।
সভায় বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষা এবং স্বরস্বতী পূজা অনুষ্ঠানের বিষয় বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করে যাবে।