সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ১৪ জেলার ঘোষিত ফলাফল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের ফলাফল কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৪টি জেলা হলো, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, যশোর, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও ও বরগুনা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন।
এর আগে রোববার নিয়োগ বঞ্চিত আফরিন যুথী, নাজমুন নাহার কাকলী, মুরশিদা খাতুন, মমতাজ মহল, ফারজানা খাতুন, মিতা উকিল, মিতালী রানী, ইতি রানীসহ ৪৬ জন হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন মত ও পথকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ মহিলা, ২০ শতাংশ পোষ্য এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করতে হবে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), ১৪ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের। তাদেরকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশিত হয়।