বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালে সংবিধান সংশোধন করে আনুষ্ঠানিকভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল। ঠিক এখন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং সুকৌশল সেই একই ব্যবস্থা অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছে। গণতন্ত্রের আবরণে দেশে স্বৈরতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবই তারা ধবংস করে দিয়েছে।
শনিবার বিএনপি আয়োজিত গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রবর্তনের পটভূমি তুলে ধরে তিনি বলেন, সেদিন সংসদে বিনা বির্তকে, বিনা আলোচনায় সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিল মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে পাস করিয়ে দেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির পদে শপথ গ্রহণ করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। এই দলের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশে কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ অর্থাৎ বাকশাল। এইদিনে বাকশালের জন্মদিন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশতাক আহমেদ কিছু সামরিক অফিসারের মাধ্যমে জাতির জনককে হত্যা করে ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং দেশে জারি করে ‘মার্শাল ল’। ৪ জন ছাড়া সংসদ ও মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের সকল সদস্যই নিজ নিজ পদে থেকে গেলেন। সেই সরকারের সমর্থনে আওয়ামী লীগের ৪ জন নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় এবং তাদের সেই হত্যাকাণ্ডের অপরাধ মওকুফ করার জন্য ইনডেমেনিটি অডিন্যান্স তারা জারি করেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া ক্ষমতা আরোহন করার পরপরই দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে ’৭২ সালের সংবিধানের আলোকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং সকল মৌলিক অধিকারসহ সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনর্বহাল করেন।
- নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না : সুজন
- ফুটবল খেলা দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব : প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নিষ্ঠুর ও অমানবিকভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আজ একই সূত্রে গাঁথা। আজকের এ দিনে জাতির প্রত্যয় হলো, দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য সব গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল-মত-শ্রেণি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ছাত্র-যুবক সব শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু ও শওকত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।