চীনে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত ১৩২ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন।
চীনের গণমাধ্যম সিনহুয়ায় এক বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে।
চীন ছাড়াও ১৮টি দেশের ৭৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন তারা।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।
- বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের পড়াশোনা করাবে সরকার
- পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ধসে পড়ল কারখানার ছাদ, ১১ জনের মৃত্যু
চীনের বিভিন্ন শহর ছাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সে কারণে অনেক দেশই এ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন সফরে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে।