ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় কবিতা উৎসব।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় কবিতা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, কাজী রোজী, কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, শিহাব সরকার, দিলারা হাফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারিক সুজাত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে জাতীয় কবিতা উৎসবের শুরু ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় সে উৎসব ৩৩ বছর অতিক্রম করেছে। এই উৎসবে প্রতি বছর বাংলাদেশের কবিরা যে মর্মবাণী উচ্চারণ করেছেন তা সমগ্র জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেয়া জাতীয় কবিতা উৎসব ও জাতীয় কবিতা পরিষদের নিরন্তর এই সংগ্রামের ইতিহাস আজ আর কারো অজানা নয়। আমরা অব্যাহতভাবে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কথা বলে এসেছি। কবিদের দ্রোহের স্ফুলিঙ্গ থেকে জন্ম নিয়ে কী করে একটি উৎসব জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপ নিয়েছে তার ইতিহাসও কমবেশি আপনারা জানেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এ উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এই উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি। এ বছর আমাদের কবিতা উৎসবের মর্মবাণী : ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’।