বিএনপির নেতাকর্মী ও এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র ত্যাগ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ডোন্ট লিভ দ্য সেন্টার, সবাই যার-যার কেন্দ্রে ফিরে যান।’
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের এই নির্দেশ দেন তিনি।
সকাল সোয়া ১১ টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তার সঙ্গে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন। কার্যালয়ে আসার পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা ফখরুলের কাছে নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি এসব অভিযোগ শুনে প্রত্যেক প্রার্থী ও নেতাকর্মীকে কেন্দ্রে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নানাবিধ অনিয়মের কথা শেয়ার করেন মহাসচিবের সঙ্গে।
মির্জা আব্বাস জানান, খিলগাঁও এলাকাসহ তার নিজের ওয়ার্ডেও অপরিচিত লোকদের ডেকেছেন নৌকা-প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে। পরে তিনি পুলিশের সামনেই অপরিচিত লোকদের কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে আহ্বান জানান।
ফখরুলের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আমার এলাকায় একটি কেন্দ্রে বোমা হামলার মত কিছু ঘটেছে। ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের মার্কা আসে না। জবাবে মির্জা ফখরুল জানান, সকাল থেকেই তিনি এসব অভিযোগ শুনছেন। তবে নেতাকর্মী ও প্রার্থী-এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে অবস্থানের কথা পুনরুল্লেখ করেন ফখরুল।
সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী এজেন্ট আবদুস সালাম। মির্জা ফখরুলের কক্ষে এসে দক্ষিণ সিটির কয়েকজন দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে দেখে রেগে গিয়ে সবাইকে কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেন আবদুস সালাম।
এর আগে, আবদুস সালামের সাক্ষরে একটি অভিযোগ পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। শায়রুল কবির খান জানান, রিনার্টিং অফিসার আবদুল বাতেনের কাছে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিএসসিসির ৪৪, ৪২, ১৮ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
দুপুর পৌনে একটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস বিএনপির কার্যালয় ত্যাগ করেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার বাড়িতে অবস্থান করবেন বলে জানান।
কার্যালয়ত্যাগের আগে আবারও বিএনপির মহাসচিব ব্রিফিং কক্ষে অবস্থানরত দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এখানে থাকার দরকার নাই। সবাই যার-যার কেন্দ্রে যান। নিজে গিয়ে কেন্দ্রে বসেন। শেষবেলা পর্যন্ত কেন্দ্রে থাকতে হবে।
- ‘সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’
- ঢাকা সিটি নির্বাচন: বিভিন্ন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
এদিকে, ভোটের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কখন করা হবে, এ নিয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য গুলশানের কার্যালয়ে সকাল থেকে অবস্থান করলেও নেতারা ভোটের পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান বলে জানান একজন সদস্য।
তবে ভোটের সময় শেষ হওয়ার পর নয়াপল্টনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের অবস্থান তুলে ধরা হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানান স্থায়ী কমিটির এক সদস্য।
প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ চলছে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।