চীনে ছাড়িয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এখন ২৮ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এসব দেশের মধ্যে চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা এখন সিঙ্গাপুরে।
এমন খবরের মধ্যেই সিঙ্গাপুরে রোববার নতুন করে আরও সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে চ্যানেল নিউজ এশিয়া জানায়, সম্প্রতি চীন সফর না করেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচজন। আর বাকি দুই জন চীনে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে দুজনকে ছাড়পত্র দিয়েছে হাসপাতাল। বাকি ৩৮ জনের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। প্রচণ্ডরকম শ্বাসকষ্টে ভোগায় তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক আতঙ্কে পরিণত হওয়া করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে মহামারী রূপ নিচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
চীনে শুক্রবার ৮৬ জনের বেশি মারা গেছেন। যেটি একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। সব মিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪ জনে পৌঁছায়। আক্রান্ত হন ৩৫ হাজারের বেশি।
এ পরিসংখ্যান দিতে না দিতেই একদিন পর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৮১৩-তে। অর্থাৎ একদিনে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো ৮৯ জন।
রোববার সকালে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য দিয়েছে। সে হিসাবে শুক্রবারের রেকর্ডকে ছাপিয়ে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা এটিই।
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, করোনাভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডেই এ পর্যন্ত ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছে আরও দুজন। সেই হিসাবে উৎপত্তির ছয় সপ্তাহ পর ২০০২-০৩ সালের আতঙ্ক সার্সকে (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) অতিক্রম করল করোনাভাইরাস।
সার্স সেই সময় বিশ্বের ২৪ দেশে ছড়িয়ে পড়লেও এতে মৃত্যু হয়েছিল সব মিলিয়ে ৭৭৪ জন।