স্বপ্ন জয়ের নেশায় মত্ত আকবরদের সঙ্গে চাতকের মতো আবেগ নিয়ে বসেছিল সমগ্র দেশ। নতুন ইতিহাস রচনার মুহূর্তটির সাক্ষী হবে বলেই আশার ডালি নিয়ে টেলিভিশন কিংবা মোবাইল স্কিনের সামনে বসেছিল যে মুখগুলো- তাদের হতাশ করেননি তরুণ টাইগাররা। ক্রিকেট ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মুহূর্তে প্রতাপশালী ভারতকে মাটিতে নামিয়ে আনে তারা। আর এতে করে ডিএল মেথডে ৩ উইকেটে হারিয়ে যুব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এখন বাংলাদেশের। মেধা, প্রজ্ঞা, প্রচেষ্টা, প্রতিভা-সব মিলিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের বিশ্বজয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি আমাদের আন্তরিক অভিবাদন।
যুব বিশ্বকাপে জুনিয়র টাইগারদের গর্জন দেখেছে বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। এই বিজয় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। আকবর বাহিনীর বিজয় আমাদেরকে ১৯৭১ সালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে পরিচিত ছিলাম সেভাবে পরিচিত হয়েছি আমরা। একাত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাঙালিরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, বাঙালিরা এগিয়ে যাবে, বাঙালিরা কখনো মাথা নত করবে না।’ আমরা প্রমাণ করেছি, এ উপমহাদেশে বাংলাদেশ হচ্ছে অগ্রগামী দেশ।
২০২০ সালটি বাঙালি জাতির জন্য সবদিক বিবেচনায়ই তাৎপর্যপূর্ণ। এই বছরে সমগ্র বাঙালি উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ)। মুজিববর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে যুব বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন নিঃসন্দেহে জাতির আনন্দের ডালিতে যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপের ট্রফি জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য একটি বিশেষ উপহার।
এর আগে ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আমাদের ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খেলাধুলাসহ সকল সেক্টরে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ক্রিকেটারদের মনোবলকে সবসময় উজ্জীবিত করে চলেছে। তাই বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকেও অহর্নিশ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
- আরও পড়ুন >> করোনা ভাইরাস : প্রতিরোধে সতর্ক বাংলাদেশ