‘আমাদের রাজস্ব আদায় কমেনি। গত বছরের তুলনায় এ বছর এখন পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে আমরা লক্ষ্যমাত্রা বেশি করে ধরি, তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন কিছুটা কম।’-বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি হিসাব হবে গত বছর এই সময়ে আমরা কী অর্জন করেছি এবং এ বছর কেমন অর্জন করলাম তার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু এ বছর যদি কম হয় তাহলে দ্যাট ইজ নেগেটিভ গ্রোথ। আর যদি গত বছরের তুলনায় বেশি করি তাহলে পজিটিভ গ্রোথ। আমার জানা মতে, এ বছর ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে।
আমাদের রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয় বড় আকারের, যাতে এটি অর্জন করার জন্য সবাই চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আমাদের প্রকাশনাগুলো দেখবেন, সারা বিশ্বের অবস্থা দেখবেন, তারপর বলবেন আমরা কেমন আছি। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেনি। আপনারা (সাংবাদিকরা) যে পদ্ধতিতে হিসাব করেন, সেই পদ্ধতিতে হিসাব করা নিয়ম না।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে যে, প্রাইভেট ব্যাংকের ডাইরেক্টর, এমডি, ডিএমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে অ্যাপ্রুভ করলে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে এ-সংক্রান্ত ধারা সংযুক্ত হচ্ছে। এটি কি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে-এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, খসড়া ব্যাংকিং কোম্পানি অ্যাক্টের নতুন ধারা আছে একটি। ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের খসড়াটি এখনও আমি পাইনি। আমার কাছে খসড়া এলে বলতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, যদি এটি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ভালো হবে। সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এভাবেই অনুমোদন করা হয়। সুতরাং, বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এভাবে অনুমোদন নিয়ে স্ট্রাকচার বডির আওতায় যদি এটি করা যায় তাহলে ভালো হবে। সেটা ভালো কাজ। আস্তে আস্তে ভালো কাজের দিকে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকিং কোম্পানি আইন বিদ্যমান আছে। এখানে কিছু অ্যামেন্ডমেন্ট (সংশোধনী) আনতে হবে এই আইনে। পুরো আইন চেঞ্জ করতে হবে না। প্রপোজাল (প্রস্তাব) এলে আমিই নিয়ে যাবে কেবিনেটে। সেখানে আলোচনা করে কেবিনেট যেগুলো গ্রহণ করবে সেগুলোই সংসদে অনুমোদনের জন্য যাবে, সেটাই নিয়ম’। বলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।