বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে এই সরকার দেশের জনগণকে ভয় পায়। শুধু তাই নয়। গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকেও ভয় পায় সরকার।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের বাস্তবতাকে অস্বীকার করে আমার বিশ্বাস হয় না খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে পারবো। এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আজকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কী- তা পর্যালোচনা করেই আমাদের ঠিক করতে হবে। আমরা কীভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। আজকে যদি সেই দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকে তাহলেই কেন কোটি কোটি মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল।
মঈন খান বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা কোনো অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে চাই। আজকে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে গণতান্ত্রিকভাবেই এগোতে হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে।
সদ্য শেষ হওয়া ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ৮০ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বাক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খালেদা জিয়া দেশের নেত্রী, মানুষের নেত্রী। তাকে অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে। আমি বিএনপির সঙ্গে আছি। আমি শুধু দেখতে চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি কী কর্মসূচি দিতে পারে।
মান্না বলেন, খালেদা জিয়া সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নেত্রী। যার পেছনে দেশের ১৭ কোটি মানুষ আছে। মানুষের ভালোবাসা আছে। দল যদি নেতৃত্ব দিতে পারে তাহলেই সম্ভব। মূলত বিএনপি নেতাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, লড়াইটা শুরু করতে হবে। আগামী দিন লড়াইয়ের দিন। আগামী দিন বিজয়ের দিন।
- আরও পড়ুন >> ‘কারিগরি প্রশিক্ষণে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে’
- আরও পড়ুন >> বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
- আরও পড়ুন >> চট্টগ্রাম সিটি ও দুই উপনির্বাচনের ভোট ২৯ মার্চ
গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।