কানেকটিভিটি বাড়াতে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ঢাকা-কাঠমান্ডুর

মত ও পথ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-নেপাল

নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বাড়াতে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালির মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে এবং নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি কাঠমান্ডুর পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। বাণিজ্য, জলবায়ু, পর্যটন, যোগাযোগ, কৃষি, আইসিটি, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানবসম্পদসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি বলেন, আমরা আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে চাই। এটি এখন সীমিত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই টাস্কফোর্স দু’দেশের মধ্যে কীভাবে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করবে।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের জিএমআর কোম্পানি নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। সেখান থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। এটা সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কবে নাগাদ এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশ আমদানি শুরু করতে পারবে তা জিএমআর কোম্পানির ওপর নির্ভর করছে। তবে আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে তা সম্ভব হতে পারে।

বাংলাদেশের সাথে অগ্রাধিকার বাণিজ্যিক চুক্তি ও বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানান প্রদীপ কুমার গাওয়ালি।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি, যোগাযোগ, জলবায়ু ও পর্যটন খাতেও আমরা একে অন্যকে সাহায্য করব। সামনের দিনগুলোতে এসব ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, খুব আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক একাধিক ইস্যুতে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা দুই দেশ একে অন্যকে সহায়তা করতে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখব।

তিনি বলেন, নেপাল আমাদের মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়, এতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন ঘটাতে আকাশপথ ও নৌপথে দুই দেশের মধ্যে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক হবে।

ড. মোমেন বলেন, নেপালের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আসছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য। আমরা স্বাগত জানিয়েছি। টেকনিক্যাল কমিটি দেখবে সেখানে কী ধরনের বিমান যাতায়াত করতে পারে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি বেশ বড়। এখন প্রায় ১২-১৪টি ফ্লাইট সেখানে ঢাকা থেকে যায়। ফলে নেপাল থেকে এসেই যে কেউ ঢাকায় আসতে পারবে কানেকটিভিটির কারণে।

মংলা বন্দর ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা এবং অতিরিক্ত শুল্কের সমস্যা রয়েছে। এগুলো সমাধানে উভয়পক্ষ কাজ করছে বলে জানান ড. মোমেন।

এছাড়াও দু’দেশের মধ্যে জলবায়ু, পর্যটন, আইসিটি সেক্টর নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে