ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল রাজশাহীর চারঘাটের স্কুলছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন জ্যোতি (১৫)। তবে পরে প্রেমিক জামিরুল ইসলাম জয় (২৫) তাকে বিয়ে করতে আপত্তি জানান। এ ঘটনায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিষপান করেন ওই স্কুলছাত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফারজানা ইয়াসমিন জ্যোতি চারঘাটের মাড়িয়া এলাকার ফজেল জোয়ারদারের মেয়ে। সে মাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অভিযুক্ত প্রেমিক জামিরুল ইসলাম পুঠিয়ার বানেশ্বরের বালিয়াঘাট এলাকার আসলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজশাহী কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। এনিয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা বলছেন, ফারজানা ইয়াসমিন জ্যোতির সঙ্গে জামিরুলের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেড়াতে যাওয়ার নাম করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে বানেশ্বরের বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন জামিরুল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্যোতি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু প্রেমিক তাতে রাজি হয়নি। ওই দিনই বাড়ি ফিরে কীটনাশক পান করে জ্যোতি। দ্রুত তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আপাতত রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। মেয়ের বাবা যদি মামলা দেন তাও নেবে পুলিশ।