করোনাভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৪৫, সুস্থ ২০ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনা ভাইরাস
ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৫ জনে। এছাড়া দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৮৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ হাজারের বেশি লোকের অবস্থা সংকটাপন্ন।

শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ হাজার ৬৫৯ জন।

এছাড়া বহু লোককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চীন জানিয়েছে, আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। চীনের স্বাস্থ্য কমিশন বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে। শনিবার এ খবর দিয়েছে চায়না গ্লোবাল নেটওয়ার্ক।

চীনের সকল প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। নিহতদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। প্রদেশটির উহান শহর থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতাল নির্মাণ, করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কারে সরকারি অনুমোদনসহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্কে জনমানবশূন্য ভৌতিক এলাকায় পরিণত হয়েছে চীনের একেকটি গ্রাম ও শহর।

রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উহান শহরে স্টেডিয়াম, কনফারেন্স সেন্টারসহ কয়েকটি ভেন্যুকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় শুরু থেকে তাদের অবহেলা ও দুর্বলতার কথা স্বীকার করেছে চীন। হুবেই প্রদেশের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলিতে ওষুধ ছিটাচ্ছে প্রশাসন। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন মেডিকেল স্টাফরা। যাদেরকে সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।

এরই মধ্যে চীনের কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যৌথ গবেষণা চালিয়ে প্রাথমিক প্রতিষেধক তৈরি করেছেন। যেটি ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে প্রথমিক ধাপে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এটি যদি করোনা সারাতে কার্যকরীও হয় তবুও বেশ কয়েক মাস সময় লেগে যাবে।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইরান, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ২৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। বিভিন্ন দেশ বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ নজরদারি জারি করেছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে কাউকে সন্দেহ হলে তাকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে