খাবারের প্যাকেটে পিন মারলে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

মত ও পথ প্রতিবেদক

খাবারের প্যাকেটে পিন মারা

উচ্চ পর্যায় থেকে মধ্যমমানের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট বা খাবারের দোকান  ভোক্তাদের হাতে বক্সে করে খাবার পরিবেশন করে থাকে। যেসব বক্সে স্ট্যাপলারের পিন ব্যবহার করা হয়। আবার কোথাও কোথাও খবরের কাগজে মুড়ে দেয়া হয় খাদ্যপণ্য। ভোক্তাদের হাতে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের খাবারের বক্সে পিন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করলে একটি পিন ব্যবহারের জন্য জরিমানা গুণতে হবে তিন লাখ টাকা।

universel cardiac hospital

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাদ্যস্পর্শক প্রবিধানমালা, ২০১৯ (এস,আর,ও নং ২৫৭-আইন/২০১৯ অনুযায়ী খাবারের প্যাকেটে স্ট্যাপলারের পিন ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহার করলে সর্বনিম্ন জরিমানা তিন লাখ টাকা।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব কবির বলেন, একটি খাবারের প্যাকেটেও একটি স্ট্যাপলারের পিন থাকতে পারবে না। এক একটি পিনের জন্য তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এই জরিমানার পরিমাণ আনুপাতিক হারে বাড়বে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাদ্যস্পর্শক প্রবিধানমালা, ২০১৯ (এস,আর,ও নং ২৫৭-আইন/২০১৯) প্রকাশিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট খাদ্যস্পর্শক ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী ও জনগণকে এই বিধিমালা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যের নিরাপদতা ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যস্পর্শক প্রস্তুতকারী ও ব্যবসায়ী, খাদ্য মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

নির্দেশনার মধ্যে আছে, খাদ্যস্পর্শক ও খাদ্যের মোড়ক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল স্বাস্থ্যসম্মত ও যথাযথ মানসম্পন্ন (Food Grade) হতে হবে, খাদ্যের মোড়ক/প্যাকেটে ধাতব স্ট্যাপলার/পিন/সেফটি পিন বা ধাতব বস্তু ব্যবহার করা যাবে না, ওই খাদ্যের মোড়ক হিসেবে নিম্নমানের ও রিসাইকেল পলিথিন, পুরনো খবরের কাগজ অথবা লিখিত কাগজ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। গরম খাবার/পানীয় পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিম্নমানের ও রিসাইকেলড প্লাস্টিক কাপ/বক্স/পাত্র ব্যবহার করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এবং এর অধীন প্রণীত বিধিমালাসমূহ মেনে চলুন এবং স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করুন। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে