রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন। বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আবদুল বাতেন বলেন, এখন থেকে হোটেলগুলোতে যাতে অসামাজিক কার্যকলাপ না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হবে। হোটেলগুলোতে যাতে ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকবে পুলিশ। একটি হোটেলে কী ধরনের কার্যকলাপ চলে, তাদের কী নিয়ম-কানুন আছে, কারা ভাড়া নিয়ে হোটেলে থাকে- তা চেক করে দেখা হবে।
- হিন্দুরা ভারতে মুসলিম গণহত্যায় মেতেছে: প্রেসিডেন্ট এরদোগান
- বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনীতিতে পড়বে বিরূপ প্রভাব
নারী ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার শামীমা নূর পাপিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তার (পাপিয়া) বিরুদ্ধে র্যাব তিনটি মামলা করেছে। ওই সব মামলায় সে ১৫ দিনের রিমান্ডে আছে। মামলাগুলো ইতিমধ্যে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ হয়নি। পাপিয়ার সঙ্গে কারা জড়িত, কারা ইন্ধনদাতা, তার অর্থের উৎস কী, এত বেপরোয়া হওয়ার পেছনের শক্তির উৎস কী- সবই তদন্ত করে দেখা হবে। পাপিয়ার বিষয়ে কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে তাও তদন্ত করা হবে।
আধিপত্য ও প্রেম নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিপন হত্যা : ২১ ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিল এলাকার মধুবাগের বউবাজারে শিপন হত্যার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি-মধুবাগ ব্রিজের আধিপত্য ও প্রেম নিয়ে মতবিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হল- আজাদ, সুজন ও ইব্রাহিম। তিনজনই শিপন হত্যার কথা শিকার করেছে।
আবদুল বাতেন বলেন, আজাদ তার মাকে দিয়ে মধুবাগ চেয়ারম্যান গলিতে এক মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মধুবাগের ছেলে শিপনের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে শিপনের সঙ্গে আজাদের দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরেই শিপনকে হত্যা করা হয়।