‘মহাধসের’ কবলে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। আজ সোমবার মাত্র এক ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ২০০ পয়েন্টের ওপরে নাই হয়ে গেছে।
শেয়ারবাজারকে টেনে তুলতে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েও দেশের বাজারে প্রাণ ফেরানো যাচ্ছে না। একের পর এক ধসের কবলে পড়ছে শেয়ারবাজার। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও পুঁজি হারানোর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামলে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে এবং সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়।
নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই সুবিধা দেয়ার ফলে শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে নেমে যাওয়া ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসএক্স হু হু করে বেড়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে চলে আসে। অর্থাৎ পতন কাটিয়ে ১০ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ৩৭৩ পয়েন্ট।
তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এর মধ্যে বড় দরপতন হয়েছে একাধিক কার্যদিবসে।
- শিশু সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ধর্ষক হারুনের ফাঁসির আদেশ
- জেনে নিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
আর আজ লেনদেনের শুরুতেই রীতিমতো ধস নেমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৫০ পয়েন্ট কমে ৯৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।