দেশব্যাপী নয় মাস থেকে দশ বছর বয়সী তিন কোটি ৪০ লাখ শিশুকে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হবে। টিকা দেয়ার এই কর্মসূচি শুরু হবে ১৮ মার্চ, শেষ হবে ১১ এপ্রিল।
মঙ্গলবার রাজধানীতে এক সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে সম্প্র্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. মো. শামসুল হক, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বকস চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কনসালটেন্ট ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জুসি মেরিনা অধিকারী প্রমুখ।
দুই ধাপে এই টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে ইউনিসেফ, গাভী ও ডব্লিউএইচও। ক্যাম্পেইনটির প্রথম ধাপে (১৮ থেকে ২৫ মার্চ) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হবে। পরের ধাপে (২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল) বিভিন্ন কমিউনিটিকে এই টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ সময় জানানো হয়, সব শিশুকে এই টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমরা ছয় মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। শতভাগ সম্ভব না হলেও অন্তত ৯৫ শতাংশ শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে।
- আরও পড়ুন >> তামিম-মুশফিকের মাসিক বেতন ছয় লাখ
- আরও পড়ুন >> বিশ্বে অস্ত্র আমদানির শীর্ষে সৌদি, রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র
- আরও পড়ুন >> ১৭ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে নয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী এক কোটি ৫৬ লাখ এবং পাঁচ থেকে ১০ বছরের কম বয়সী এক কোটি ৮২ লাখ শিশুকে টিকা দেয়া হবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে হাম-রুবেলার রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।