প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত আছি। আমাদের আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তাও আছি। যেহেতু নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, সুতরাং এই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আল্লাহর রহমতে ঠিক হয়ে যাবে হয়তো। ২১ মার্চ ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনটা পেছাতে চাচ্ছি না। এর মধ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। তবে যারা নির্বাচনে কাজ করবেন তাদের সতর্ক অবস্থায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা যদি মেনে চলা না হয়, তাহলে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
আজ সোমবার বিকেলে ইসির এটিআই ভবনে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত এক বৈঠকে একথা বলেন তিনি।
এ সময় সিইসি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চকিস) নির্বাচন, পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচনসহ সব নির্বাচনের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার কাজে জনসভা, পথসভা পরিহার করার জন্য বললেন। এক্ষেত্রে তিনি অন্য বিকল্প প্রচার মাধ্যম বেছে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সব ধরনের জনসমাগম না করার নির্দেশনার বিষয়টি সাংবাদিকরা সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমরা এখনই বিষয়টি চেকআপ করব। মেসেজটা যেন পৌঁছে দিতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেবো, আমাদের যত নির্বাচন আছে। প্রার্থীরা যেন সীমিত আকারে অন্য ডিভাইসে প্রচার করে, যেন জনসভা, পথসভা পরিহার করে সে অনুরোধ করব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন বন্ধ করিনি এখনও। যতক্ষণ বন্ধ করিনি, ততক্ষণ হবে।
নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে সময় এজেন্টরা যদি কেন্দ্রে যায়, তার নিরাপত্তা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা অনেক সময় দেখি যে, এজেন্ট যেতে দেয়া হয়নি বলা হয়। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি তারা যায়নি। তাই যারা প্রার্থী তাদের অনুরোধ করব- সক্ষম, দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন এজেন্ট নিয়োগ দেবেন। তারা যেন ফাঁকি না দেন। তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যান। তারা না গেলে তাদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পথে প্রতিবন্ধকতার শিকার হলে সেটা আমরাদের বলতে হবে। এজেন্ট একটা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। কোনো অনিয়ম হলে প্রতিবাদ করবেন, আমাদের বলবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এজেন্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমার এজেন্টদের একটা প্রশিক্ষণ দেবো। যেহেতু ইভিএমে ভোট হবে। তাদের দায়-দায়িত্ব সব বুঝিয়ে দেয়া হবে।
- দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
- চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে : সিভিল সার্জন
এই আসনে মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন আর বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম।
ঢাকা-১০ ছাড়াও গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ২১ মার্চ। ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার মারা যাওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়।
দুইদিন পর ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পাঁচবারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন মারা যান। ফলে এই আসন শূন্য হয়।