এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঢাকা নর্থওয়েস্ট ইনটারন্যাশনাল ট্রেড করিডোর উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে এ অর্থ দেবে সংস্থাটি। এজন্য একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে রবিবার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে- ভুটান, ভারত ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ সহজতর হবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে এলেঙ্গা হতে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক দুই লেন থেকে ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ উভয় পার্শ্বে ধীরগতিসম্পন্ন যান চলাচলের জন্য পৃথক লেন নির্মিত করা হবে।
এছাড়া মহাসড়কে নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করার স্বার্থে ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, রেলওয়ে ওভারপাস, পথচারী পারাপার, চতুর্মুখী জংশন নির্মাণ এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই সঙ্গে সড়ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় সড়ক বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে।
এছাড়া সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকনোমিক কো-অপারেশন (এসএএসইসি) করিডোর ৪ ও ৯, এশিয়ান হাইওয়ে-২, বিমসটেক-২ এবং সার্ক হাইওয়ে করিডোর-৪ এর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
চুক্তি শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, এডিবি করোনার প্রভাব নিয়ে একটি প্রক্ষেপণ দিয়েছে। আইএমএফ হয়তো এখন প্রক্ষেপণ দেবে। সরকার বিষয়টা নিয়ে সতর্ক আছে।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এরকম একটি চুক্তি হচ্ছে এটা স্মরণীয় বিষয়। এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে সড়ক সংযোগ স্থাপিত হবে।
তাছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিবহন খরচ কমবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এডিবি।
করোনা আক্রান্ত দেশগুলোকে অনুদান সহায়তা, ঋণ সহায়তা এবং জ্ঞান সহায়তা দিয়ে থাকে এডিবি। প্রয়োজনে সরকার চাইলে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে এডিবি।
চুক্তি অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প ২ এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদন পায়।
- করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ছয় হাজার ছাড়াল, সুস্থ ৭৮ হাজার
- উপ-নির্বাচন : বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি
এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং এডিবির ঋণ ৯ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
এডিবি দেয়া ওসিআর ঋণ ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার ইউরিবোর ভিত্তিক শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ।
এছাড়া ওসিআর ঋণের জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম এবং অব্যয়িত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে বলেও জানানো হয় চুক্তি অনুষ্ঠানে।